চার দিনের জলাবদ্ধতার পর অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর থেকে সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল সাড়ে চারটায় কনটেইনার লরি চালক মো. সোহেল জানান, তিনি ঢাকা থেকে তিন দিন আগে রওনা দিয়েছিলেন এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই দিন আটকে ছিলেন। অন্যদিকে, ট্রাকচালক জুনায়েদ মিয়া জানান, কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে পানি নেমে যাওয়ার পর যানবাহন চলাচল শুরু হলেও গতি এখনও ধীর।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ট্রাকের চালক সাইদুল ইসলাম জানান, ফেনী সদরের লালপোল এলাকায় সড়কের অংশ ভেঙে গিয়েছিল এবং পানি ছিল বুক পর্যন্ত। তবে আজ পানি সরে গেছে এবং সেনাবাহিনী ভাঙা অংশ মেরামত করেছে।
সড়ক পরিদর্শনে দেখা গেছে, এখনও শত শত যানবাহন সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এক সারিতে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে চালকদের। ত্রাণের গাড়িগুলিও চলাচল করছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, চার দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কার্যত বন্ধ ছিল। মিরসরাই থেকে ফেনী সদরের লালপোল পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছিল, যার মধ্যে বেশিরভাগই বন্দর থেকে বের হওয়া পণ্যবাহী গাড়ি ছিল। সড়কে পানি জমে যাওয়ার এবং বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে গাড়িগুলোর চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ঢাকা, সিলেট, রংপুরগামী কিছু যাত্রীবাহী বাসও আটকা পড়েছিল।
ফেনী এলাকায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার গ্রামের পর গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই ধরনের পরিস্থিতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামেও দেখা গেছে।