অভিযোগের স্বীকৃত নেতাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন ইসলাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক রেজাউর রহমান এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন অন্তর্ভুক্ত। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মিলন ইসলাম সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয় দখল করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে, রেজাউর রহমান এবং তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দলের শৃঙ্খলা এবং ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে, যা দলের জন্য ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব জেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে দিতে হবে।
মিলন ইসলাম ওই অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ৬ আগস্ট ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ভবন পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে ছবি তুলেছেন। তাঁর মতে, দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং চাঁদাবাজির বিষয়টি তিনি নিজেও ঘৃণা করেন। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রাপ্ত হয়েছে। এই কারণে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে এবং প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইদুর রহমান আরও বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতন্ত্রের চর্চায় বিশ্বাস করে এবং চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসের স্থান এখানে নেই।