ব্যাংকারদের মতে, যদি এই ধারা বজায় থাকে, তাহলে চলতি মাস শেষে প্রবাসী আয় ২৫০ কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭.৫ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় দেশে আসছে। যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২৩৫ কোটি ডলার অতিক্রম করবে। এমন হলে এটি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় রেকর্ড হবে আগস্ট মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে গত জুনে, যা ছিল ২৫৫ কোটি ডলার। এর পরবর্তী সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল মে মাসে, ২২৫ কোটি ডলার। সর্বশেষ জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, যিনি ১৪ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সম্প্রতি একটি বৈঠকে ব্যাংক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কাটাতে আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সীমা ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ডলারের মূল্য ১১৭ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারবে।
ব্যাংকারদের মতে, বৈধ পথে প্রবাসী আয় আনতে উৎসাহিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০ আগস্ট একদিনে প্রায় ১১ কোটি ডলার বৈধ পথে দেশে এসেছে। এই প্রবাহ বজায় থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।