• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় দুই বিচারকের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের বিক্ষোভ: এজলাসে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

বগুড়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানকে প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের কর্মচারীরা তীব্র বিক্ষোভ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুই বিচারকের এজলাস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন, যার ফলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং সেবাপ্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই দুই বিচারক কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন এবং হয়রানি করে তাঁদের অপদস্থ করেছেন। তাঁরা বিদায়ী জেলা প্রশাসকের জন্য সংবর্ধনা আয়োজন করারও অভিযোগ তোলেন। কর্মচারীরা জানান, বিক্ষোভের কারণে কোনো আদালত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি এবং বিচার প্রার্থীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

অভিযোগের প্রতি সাড়া দিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন যে, তাঁর যোগদানের পর থেকেই তিনি আদালতে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁর আমলে বেশ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে কিছু কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং তারা আদালতের পরিবেশকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, তার সততার ভিত্তিতে শাহীন ইকবালকে অস্থায়ী নাজির হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা কিছু কর্মচারীর অস্বস্তির কারণ হয়েছে। এছাড়া, সহকারী জজ আদালতের একটি নারীকর্মচারীর বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া একজন সহায়ক কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা একজোট হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।

বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও মো. মনিরুজ্জামান শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনুগত ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলায় জামিন দেননি। তাঁরা জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবং কর্মচারীদের অতিরিক্ত কাজের চাপ দেওয়ার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বগুড়া জজ আদালতের প্রধান হিসাবরক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সেরেস্তাদের মধ্য থেকে একজনকে নাজির হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম মেনে শাহীন ইকবালকে অস্থায়ী নাজির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, তাঁর মতে, নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত নিয়মবহির্ভূত ছিল এবং কর্মচারীদের দীর্ঘ সময় অফিসে থাকতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে।

বর্তমানে, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ তিন দিনের ছুটিতে চলে গেছেন এবং নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


More News Of This Category
https://slotbet.online/