১. শক্তি বৃদ্ধি
খেজুরে প্রায় ৯৮ শতাংশ শর্করা থাকে এবং প্রতি খেজুরে প্রায় ৬৬ ক্যালরি শক্তি রয়েছে। দৈনন্দিন শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমের ফলে অনেকেই দুপুরের পর ক্লান্ত অনুভব করেন। খেজুর খেলে দ্রুত শক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়।
২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
খেজুরে কোনো ফ্যাট নেই, ফলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. হজম ভালো রাখে
খেজুরে উপস্থিত আঁশ এবং পুষ্টি উপাদানগুলি হজম প্রক্রিয়াকে সহায়ক। এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কখনো কখনো ডায়রিয়াতেও উপকারী হতে পারে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
খেজুরে সোডিয়াম নেই এবং পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, কিন্তু খেজুর তা প্রতিহত করে।
৫. চোখের স্বাস্থ্য
খেজুরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, বিশেষ করে ভিটামিন ই এবং সি রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ
খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীতে কম খাবার গ্রহণের প্রলোভন সৃষ্টি করে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে এবং সারা দিন শক্তি দেয়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য
খেজুরে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। শিশুদের দাঁতের মাড়িও শক্ত করে।
৯. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য
খেজুরের ভিটামিন এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে সজীব রাখে।
১০. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন খেজুর খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কিছু শেখা সহজ হয়।
কিভাবে খাবেন
প্রতিদিন দুটি খেজুর সকালের নাস্তায় বা খাবারের পরে খেতে পারেন। ওটস, স্মুদির সঙ্গে মিলিয়ে খেতে পারেন অথবা ডেজার্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও খেজুরের মিল্কশেক বা বাদাম, সালাদ, ফলের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
সতর্কতা
খেজুরের সঙ্গে যদি অতিরিক্ত চিনি, ভাজা খাবার বা তেল-চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তবে স্বাস্থ্য উপকারিতা কম হতে পারে। ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ কিলোক্যালরি থাকে, তাই অন্যান্য শর্করার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা থাকলে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিত।