পুতিনের এই সফর দীর্ঘ ১৩ বছর পর প্রথম উত্তর ককেশাস প্রজাতন্ত্রে। ইউক্রেনের সেনারা দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং সেখানে অভিযান শুরু করেছে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভেতরে বিদেশি সেনাদের আক্রমণের অন্যতম বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মস্কো কুরস্কে শক্তি বৃদ্ধি করছে।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে পুতিনের সফরের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুতিন রাশিয়ান স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যতদিন আমাদের মতো নিবেদিত সৈন্য আছে, ততদিন আমরা অজেয়।’ পুতিন সেনাদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘শুটিং রেঞ্জে গুলি করার সাথে বাস্তব জীবন রক্ষার মাঝে পার্থক্য আছে। কিন্তু আপনাদের পিতৃভূমি রক্ষায় সাহসিকতা প্রদর্শন করতে হবে।’
বিদেশি সেনাদের রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ পুতিন এবং রুশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে ধীরগতিতে হলেও অগ্রসর হচ্ছে।
এছাড়াও, পুতিন অন্য একটি বৈঠকে বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চেচনিয়া ৪৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ১৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।’ কাদিরভ নিজের অবস্থানকে ‘পদাতিক সৈন্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুতিন যখন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা হয় কাদিরভের পদাতিক সৈন্যদের অবদান কেমন, তখন পুতিন বলেন, ‘যদি আরও অনেক পদাতিক সৈন্য থাকতাম, তবে আমি আরও খুশি হতাম, কিন্তু এমন একজন সৈন্য থাকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’