এই সূরার প্রথম আয়াতে, আমরা বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’, অর্থাৎ, ‘সব প্রশংসা বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহর জন্য’। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নিঃআবদি’, যা মানে হলো, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল’। এই কথায় আল্লাহর প্রতি বান্দার শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হয়।
এরপর আমরা যখন বলে, ‘আর রাহমানির রাহিম’, অর্থাৎ, ‘তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু’, তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি’, যার অর্থ হলো, ‘আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল’। এই আয়াতে আল্লাহর অসীম দয়া এবং করুণার প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন’, অর্থাৎ, ‘তিনি বিচারদিনের মালিক’, তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি’, যা মানে, ‘আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল’। এই আয়াতে আল্লাহর বিচার ও ক্ষমতার প্রতি সম্মান প্রদর্শিত হয় এবং বান্দার আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটে।
এই সূরার মাধ্যমে, মুসলিমরা আল্লাহর প্রশংসা, করুণা এবং বিচার ক্ষমতার উপর নিজেদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে, যা তাদের প্রার্থনায় একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে।