• রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া: ভারতের কৌশলগত অবস্থান

Reporter Name / ৩২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে দেশে একাধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে চাইতে পারে। তবে এটি একটি জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

প্রত্যর্পণ চুক্তি ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে করা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ থেকে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়, যাতে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সহজ হয়। তবে এই চুক্তির আওতায় যেসব অপরাধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে রাজনৈতিক অপরাধগুলোর স্থান নেই।

ভারতের কৌশলগত চিন্তাভাবনা

ভারতের জন্য এই পরিস্থিতি একটি কূটনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। শেখ হাসিনা একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো রাজনৈতিক রূপ নিতে পারে। ভারতের কাছে এখন দুটি বিকল্প রয়েছে: প্রথমত, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, তাকে দেশে ফেরত পাঠানো থেকে বিরত থাকা। তবে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি ভারতকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

ভবিষ্যতের কূটনৈতিক জটিলতা

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের জন্য সহজ হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতে এমন অনুরোধ জানালে, ভারতের জন্য একটি কূটনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। তবে ভারত কূটনৈতিক ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে চাইবে, যাতে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বিচারাধীন এবং পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ভারত অপেক্ষা করবে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করেন যে, ভারত যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা কূটনৈতিক সংবেদনশীলতা বজায় রেখে করবে।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হলেও, ভারতের জন্য এটি একটি সংবেদনশীল কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে। ভারত কূটনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ বিবেচনায় রেখে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই তাদের সম্পর্ক রক্ষা করতে চাইবে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/