সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিলে গুলিবর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের কাছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়।
মামলার বাদী মো. সাজন আহমদ সাজু, যিনি সিলেট নগরের খারপাড়া এলাকার বাসিন্দা, জানান যে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খানকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, হাবিবুর রহমান, রণজিৎ সরকার; সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী; সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম; এবং সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ রয়েছেন।
মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের নয়জন কর্মকর্তা ও সদস্যের নাম রয়েছে, যেমন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি) তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ, সিআরটি প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন, অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে আসামি তালিকায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শোভন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবীর প্রমুখ।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ৪ আগস্ট বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে সোবহানীঘাট এলাকায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি ছোঁড়া হয়। বাদী মো. সাজন আহমদ অভিযোগ করেছেন যে, তিনি মুখ ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং তার শরীরে স্প্লিন্টার ও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। আসামিদের গুলিতে এবং বিস্ফোরণে বেশ কিছু ছাত্র-জনতা এবং পথচারী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।