আজ দুপুরে, শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন জানিয়েছেন যে, তদন্ত সংস্থা অভিযোগটি গ্রহণ করেছে এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শাহরিয়ার হাসান আলভী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনার জন্য আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনা দায়ী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া, অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলি রয়েছে। অভিযোগের মধ্যে মোট ২৭ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার উদ্দেশ্যে, গুলিবর্ষণসহ নানা ধরনের সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের আয়োজন করেন। এর ফলে নিরস্ত্র সাধারণ ছাত্র–জনতা গণহত্যার শিকার হন।
আবেদনে ঘটনার স্থান হিসেবে পুরো বাংলাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে এবং ঘটনার সময়সীমা ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারীদের সমূলে নির্মূল করা।
এই অভিযোগটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে নতুন এক প্রমাণস্বরূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে একটি গভীর তদন্তের পথে পরিচালিত করবে।