ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাক ও মুখ বন্ধ করে শ্বাস রোধ করেই ওই চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনে হত্যা নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে, যৌনাঙ্গে কিছু জোর করে প্রবেশের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে মনে হচ্ছে তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ঘটনাটি ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে ময়নাতদন্ত করা হয়। এই প্রতিবেদনের প্রস্তুতকারকরা হলেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস, সহযোগী অধ্যাপক রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মলি ব্যানার্জি।
গত শুক্রবার উত্তর কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। ৩১ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের পর রাতে বিশ্রাম নিতে গিয়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে রক্তাক্ত ও বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এই ঘটনা কলকাতার পাশাপাশি সারা ভারতে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, যা এখনও চলমান রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, পরবর্তীতে বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।