আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সামনে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা এ সময় নগর ভবনের প্রধান ফটক ও বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং প্রবেশের জন্য বাধা সৃষ্টি করেন।
গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সিটি করপোরেশনে প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের বের করে দেন। তাঁরা নগর ভবনের প্রতিটি কক্ষ ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চাবি নিয়ে নেন। এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
আবু ওয়াহাব অভিযোগ করেন, “অবৈধ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামে চেয়াম্যান, মেয়র ও কাউন্সিলররা দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট চালাচ্ছে। বিএনপি জনগণের স্বার্থে এই অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে। হাসিনা সরকারের দোসরদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। তাই সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রদল ও যুবদলের দেড়শ' নেতা-কর্মী নগর ভবনে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীকে লাঞ্ছিত করে নিচে নামিয়ে দেন। সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কক্ষেও ঢুকে কর্মকর্তাদের বের হয়ে যেতে বলা হয় এবং কক্ষের দরজাগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে গেটেও তালা ঝুলানো হয়।
অন্যদিকে, সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু গতকাল অফিস করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিস করার ছবি শেয়ার করা হয়। এতে সৃষ্ট অসন্তোষের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নগর ভবনে মিছিল নিয়ে যান। মেয়রকে না পেয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে মেয়রের গ্রেপ্তার দাবি করেন।
আজ সকালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হতে পারেননি। তবে নেতাদের আশ্বাসে প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কার্যালয়ে আসেন এবং তালা খুলে দেন। সেবা নিতে আসা জনগণ অনেকেই কার্যালয়ে তালা দেখে ফিরে যান। একজন সেবা প্রার্থী মমিনুর রহমান বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখায় কাজ ছিল, কিন্তু কার্যালয় বন্ধ দেখে ফিরে যেতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি দুর্ভোগের বিষয়।”
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী মুঠোফোনে জানান, “গতকাল কিছু উঠতি বয়সী ছেলেরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। নাগরিক সেবা দিতে আমরা সব কর্মকর্তাকে আজ অফিসে যেতে বলেছি।”