প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৫, ২০২৫, ৩:২৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৯, ২০২৪, ১১:৪৫ এ.এম
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজের ১৩ দিন পর মর্গে পাওয়া গেল যুবকের লাশ
২৯ বছর বয়সী আল আমীন সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে সাভারের বাইপাল এলাকায় বাবার সঙ্গে মুদিদোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর থেকে তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৩ দিন পর, শনিবার, ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মর্গে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
আল আমীনের পরিবার জানায়, তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মগর গ্রামের ইসমাইল মীরমালত ও জিয়াসমিন বেগমের ছেলে। দীর্ঘ সময় সৌদি আরবে থাকার পর চার মাস আগে দেশে ফিরে আসেন আল আমীন। ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য বিকেলে বাসা থেকে বের হন তিনি। মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অভাবনীয়ভাবে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁর লাশ অজ্ঞাত হিসেবে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল।
গত শুক্রবার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে আল আমীনের ছোট বোন আফলান সিনথিয়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরদিন, শনিবার, গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
আফলান সিনথিয়া বলেন, "আমরা ছোটবেলা থেকে সৌদি আরবে থাকি এবং দেশের রাজনীতি আমরা তেমন বুঝি না। আমার ভাই রাজনৈতিক সহিংসতায় জীবন হারাল। মা-বাবার ইচ্ছে ছিল ডিসেম্বরে তাকে বিয়ে দেওয়ার। সেই আশা আর পূরণ হলো না। আমরা চাই, তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হোক।"
আল আমীনের বাবা ইসমাইল মীরমালত বলেন, “ছেলের লাশ ১২ দিন অজ্ঞাত হিসেবে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। বাবার হিসেবে এই যন্ত্রণা আমি কাউকে বোঝাতে পারব না। আমি ছেলের হত্যার বিচার কার কাছে চাইব?”
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম মন্তব্য করেন, “ছেলেটির মৃত্যুর ঘটনায় আমরা ব্যথিত। তার পরিবার ও একটি সংগঠন কিছু দাবি তুলেছে। আইনের মধ্যে থেকে যা করা যায়, আমরা তা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ও আমরা সব সময় পরিবারের পাশে থাকব।”
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.