ইউক্রেনের বাহিনী সম্প্রতি রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আরেকটি কৌশলগত সেতু ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই ঘটনা নতুন নয়; গত সপ্তাহে ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করার দাবি করেছে।
গতকাল রোববার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের জাভানোই এলাকায় সিম নদীর ওপরে থাকা সেতুর ওপর হামলার একটি ফুটেজ প্রকাশ করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে। হামলার সময় ও তার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও, এটি ইউক্রেনের সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাঁর বাহিনী কুরস্কে সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং রুশ হামলা বন্ধে একটি ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার ফুটেজ শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, আরেকটি সেতু ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে কুরস্কের গ্লুসকোভো জেলার কাছে সিম নদীর ওপর আরেকটি সেতু ধ্বংস করা হয়েছিল, যা রাশিয়া সেনাসহ রসদ সরবরাহের জন্য ব্যবহার করত। রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে, ইউক্রেন কুরস্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করতে চাইছে এবং এ ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে সমর্থন দিচ্ছে। মস্কোর ভাষ্য, এই ধরনের হামলা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলাতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রুশ বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, রুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার ভেতরে সুদজা শহরটির নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়েছে।
এই হামলা এবং সেতু ধ্বংসের ঘটনা কুরস্ক অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গুরুত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।