প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২১, ২০২৫, ১০:৪৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২৪, ৪:৪১ পি.এম
যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তদন্ত কমিটি গঠন
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজ সকালে শিক্ষককে কলেজ থেকে অপসারণের এবং শাস্তির দাবি করে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এবং বুধবার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে মুজাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। তাঁরা জানান, শিক্ষকের আচরণ অত্যন্ত অশ্লীল ও অসদাচরণমূলক, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে তাঁরা বারবার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নারী শিক্ষকরাও তার হয়রানির শিকার হয়েছেন, কিন্তু সমাজের স্টিগমা ও মানসম্মানের ভয়ে তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না।
একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, যতদিন মুজাহিদুল ইসলাম কলেজে থাকবেন, ততদিন ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সংকটাপন্ন থাকবে। এ কারণে তাঁকে কলেজ থেকে অপসারণ করে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে এবং এই দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তাঁরা।
ঘটনার পর, বৃহস্পতিবার মুজাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তাঁর প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কমিটি প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে এবং যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত বিবরণ সংগ্রহ করছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। কলেজের অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের তদন্তের জন্য নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মুজাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.