এক মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন যে তিনি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। ২১ জুলাই, দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই ঘোষণা দেন বাইডেন।
বাইডেনের প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তের পর, গত জুনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে পরাজিত হওয়ার পর, বাইডেন দলীয় নেতাদের চাপের মুখে পড়েন। তাঁর বয়স এবং মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাইডেনের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।
বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার ২৭ মিনিটের মধ্যে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান। তিনি ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলাকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। বাইডেন তাঁর পোস্টে বলেন, “২০২০ সালে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর, আমার প্রথম বড় সিদ্ধান্ত ছিল কমলা হ্যারিসকে আমার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা, এবং এটি ছিল আমার নেওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।”
এই সমর্থন পাওয়ার পর কমলা হ্যারিস বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “বাইডেনের সমর্থন পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।” তিনি দেশ এবং দলের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণার পর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী, এবং প্রগতিশীল ব্যক্তি সহ অনেকেই কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানাতে শুরু করেন, যা দলীয় ঐক্যের একটি দৃশ্যমান চিত্র তুলে ধরে।
কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ সংবাদটি কিছুটা দেরিতে জানতে পারেন। বাইডেনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং কমলা হ্যারিসের সমর্থনের খবর পেয়ে, এমহফ মন্তব্য করেন, “আর কখনোই গাড়িতে ফোন ফেলে আসব না।”
যখন কমলা হ্যারিস প্রচারণায় নামেন, তখন নির্বাচনের মাত্র তিন মাস বাকি। “যখন আমরা লড়াই করি, আমরা জিতি”—এমন স্লোগান নিয়ে মাঠে নামেন কমলা। ডেলাওয়ারে প্রচারকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বার্তাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেব এবং আমরা জয়ী হব।”
বাইডেনের প্রচারশিবিরের হয়ে কাজ করা দলের সঙ্গেই প্রচার শুরু করেন কমলা। তাঁর প্রচারণায় বক্তব্য বাইডেনের থেকে ভিন্ন, বিশেষত রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর আইনগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। ট্রাম্পের বয়সের ফারাকটিও সামনে আনছেন, কারণ ট্রাম্প কমলার চেয়ে প্রায় ২০ বছরের বড়।
নির্বাচনী প্রচারণার পর অনুদানের প্রবাহ বেড়েছে এবং মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছেন তিনি। তাঁর সমর্থকদের মধ্যে উদ্যম তৈরি হয়েছে এবং জনমত জরিপের পাশাপাশি নির্বাচনী সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখা যাচ্ছে।