ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের নবম ওভারে, যখন শানাকা বোলিং করতে আসেন। প্রথম বলেই নিখিল চৌধুরী মারেন একটি চার। এরপর পর পর দুটি নো বল করেন শানাকা, আর সেই দুটি বলেই মারেন নিখিল আরও দুটি চার। পরের বৈধ ডেলিভারিতে নিখিল আবার চার মারেন এবং এরপর তৃতীয় বলেই ছক্কা মারেন। এই ওভারের শেষ দুটি বলও নো বল ছিল, আর সেগুলোর মধ্যে একটিতে আবার চার মারেন নিখিল।
এভাবে মাত্র ৩টি বলেই শানাকা ৩০ রান দেন, যা দেখে অনেকে সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেছেন। পুরো ওভারে ৩৩ রান দেওয়া এই ঘটনা নিয়ে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন ওঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, টি-টেন লিগ কি শুধুমাত্র খেলার জন্য নাকি এর পেছনে অন্য কিছু রয়েছে।
এই ঘটনার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শানাকাকে এবং ম্যাচের পরিচালনার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছেন। এক সমর্থক আইসিসিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, “টি-টেন লিগ কি কেবল একটি মজা, না কি ফিক্সিংয়ের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে?”
এদিকে, বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও একই দিনে একটি ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন, তবে তাঁর দল এই ম্যাচে প্রথম জয় পায়। দিল্লি বুলস ১২৩ রান করে, যা বাংলা টাইগার্স ১০ ওভারে ২ বল বাকি থাকতে তাড়া করে। শানাকা অবশ্য ব্যাট হাতে ১৪ বলে ৩৩ রান করে ম্যাচটি শেষ করেন। ৩টি ম্যাচে এটাই বাংলা টাইগার্সের প্রথম জয়।
এভাবে একের পর এক বিতর্কিত মুহূর্তের সৃষ্টি হওয়া নিয়ে টি-টেন লিগের স্বচ্ছতা ও খেলার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।